নিজস্ব লাইব্রেরি কীভাবে বানাবেন
বই হল মানুষের পরম বন্ধু। সারাদিন ভাল করার জন্ন্য একটা ভাল বই ই যথেষ্ট। বর্তমানে সবকিছুই internet এর উপর নির্ভরশীল হওয়ায় মানুষ বেশি বই পড়ছে pdf এ বা অন্য কোনো উপায়ে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বইয়ের চাহিদা মানুষের কাছে সবসময় এর।
যেমন মানুষের পরম বন্ধু বই, তেমনি বই পড়ার উপযুক্ত জায়গা হল গ্রন্থাগার। কেমন হয় যদি আপনি আপনার জায়গায় গ্রন্থাগার বানিয়ে নিতে পারেন।
গ্রন্থাগার বানানোর কতকগুলি পর্যায় অনুসরণ করলে ব্যাপারটা আরো সহজ হয়ে যাবে। নীচে পর্যায় গুলি আলোচনা করা হল।
প্রথমেই আপনাকে বুঝে নিতে হবে আপনি যেখানে লাইব্রেরি বানাচ্ছেন সেখানে পাঠক কারা। লাইব্রেরি বানানো শুধু বই কেনা নয়। একটা উন্নত এবং সমৃদ্ধ লাইব্রেরি বানানো কিছু ভালো বই রাখার থেকেও আরো বেশি কিছু।
প্রথমেই আপনাকে যে বিষয়টির উপর নজর দিতে হবে সেটি হল
১. উপযুক্ত জায়গা :: লাইবেরি টি এমন জায়গায় হওয়া দরকার যেখানে লোকাল কমিটির আপত্তি না থাকে। এছাড়া সেটি যেন সকল বয়সের মানুষের জন্য উপযুক্ত হয়। পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা র দিকে নজর দিতে হবে।
লাইব্রেরি মনে যেহেতু অনেক বইএর সমারোহ অতেব জায়গাটি যেন খুব ঘিঞ্জি বা দমবন্ধ পরিবেশের সৃষ্টি না করে।
২. পঞ্চায়েত বা মিউনিসিপ্যালিটি: এদিকের আপনার নজর দেওয়া দরকার কেননা আপনার একার পক্ষে এতটা ব্যয়বহুল কাজ করা সম্ভব নাও হতে পারে। এর জন্য আপনার পঞ্চায়েত বা মিউনিসিপ্যালিটির বিশেষ সহযোগিতার প্রয়জন পড়তে পারে। তারা সহযোগিতা করলে ব্যাপারটা বেশ সহজ হতে যাবে।
৩.বই: এরপর আসি বইএর কথায়। প্রথমেই আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ বই গুলোর ব্যবস্থা করতে হবে। পুরাতন ও নতুন বইয়ের আলাদা ব্যবস্থা থাকা দরকার। বিশেষ বিশেষ বইয়ের জন্য বিশেষ তাক থাকা দরকার। এছাড়া প্রাপ্তব়স্কদের পড়ার বই শিশুদের থেকে আলাদা রাখাই ভালো। এছাড়া আঁকার বই, খেলার বই ইত্যাদি ও রাখতে হবে যাতে সেগুলো পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয় হয়। সমস্ত বইএর রেকর্ড আপনি কাছে থাকা বাধ্যতামূলক।
রেজিষ্টার করা বইএর একটি সময় সীমা থাকা দরকার যার মধ্যে পাঠককে বই ফেরত দিতে হবে, অন্যথায় ফাইন করা যেতে পারে।
৪.সহযোগী কর্মী: লাইব্রেরি কখনোই একক হয় না। ভালোভাবে লাইবেরী পরিচালনার জন্য দরকার বিশ্বস্ত কর্মী যারা পাঠকের সঙ্গে ভালভাবে কথা বলা এবং ব্যাপার গুলো বোঝাতে পারবে। এক্ষেত্রে আপনার বিশেষ বন্ধু ও কাজে আসতে পারে।
৫. অনুদান: ভাল লাইব্রেরি বানানোর জন্য পর্যাপ্ত টাকা দরকার। এক্ষেত্রে কোনো সংস্থা বা বিশেষ বিত্তবান ব্যক্তিকে সাঘে নিয়ে চলতে পারেন।
৬. মেম্বারশিপ: শুধু বই না,তার সঘে পাঠক ও আপনার লাইব্রেরির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। অতএব আপনার তাদের সাথে মনের মিলন হওয়া দরকার। এর জন্য আপনার দরকার মেম্বারশিপ কার্ড জা আপনার আর পাঠকের মধ্যে বিশেষ যোগসূত্র গড়ে তুলবে। এই কার্ডে পাঠকের নাম, চ্ছবি , ঠিকানা ইত্যাদি থাকবে।
৭. সস্তা বই: বিভিন্ন সময় যেখানে সস্তার বই পাওয়া যায় সেখানে আপনাকে বই কিনে রাখতে হবে যাতে কম পইসায় আপনি বইএর সম্ভার বাড়াতে পারেন।
৮. প্রচার: নির্দিষ্ট সময় অন্তর আপনার লাইবেরির খবর মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিতে হবে। যাতে আপনার এবং আপনার লাইব্রেরির সম্মন্ধে তাদের ভালো ধারণা তৈরি হয়।
এইগুলো খুবই সাধারণ পদ্ধতি,এছাড়াও আপনি নিজস্ব নিয়মে চলতে পারেন।
বই হল মানুষের পরম বন্ধু। সারাদিন ভাল করার জন্ন্য একটা ভাল বই ই যথেষ্ট। বর্তমানে সবকিছুই internet এর উপর নির্ভরশীল হওয়ায় মানুষ বেশি বই পড়ছে pdf এ বা অন্য কোনো উপায়ে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বইয়ের চাহিদা মানুষের কাছে সবসময় এর।
যেমন মানুষের পরম বন্ধু বই, তেমনি বই পড়ার উপযুক্ত জায়গা হল গ্রন্থাগার। কেমন হয় যদি আপনি আপনার জায়গায় গ্রন্থাগার বানিয়ে নিতে পারেন।
গ্রন্থাগার বানানোর কতকগুলি পর্যায় অনুসরণ করলে ব্যাপারটা আরো সহজ হয়ে যাবে। নীচে পর্যায় গুলি আলোচনা করা হল।
প্রথমেই আপনাকে বুঝে নিতে হবে আপনি যেখানে লাইব্রেরি বানাচ্ছেন সেখানে পাঠক কারা। লাইব্রেরি বানানো শুধু বই কেনা নয়। একটা উন্নত এবং সমৃদ্ধ লাইব্রেরি বানানো কিছু ভালো বই রাখার থেকেও আরো বেশি কিছু।
প্রথমেই আপনাকে যে বিষয়টির উপর নজর দিতে হবে সেটি হল
১. উপযুক্ত জায়গা :: লাইবেরি টি এমন জায়গায় হওয়া দরকার যেখানে লোকাল কমিটির আপত্তি না থাকে। এছাড়া সেটি যেন সকল বয়সের মানুষের জন্য উপযুক্ত হয়। পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা র দিকে নজর দিতে হবে।
লাইব্রেরি মনে যেহেতু অনেক বইএর সমারোহ অতেব জায়গাটি যেন খুব ঘিঞ্জি বা দমবন্ধ পরিবেশের সৃষ্টি না করে।
২. পঞ্চায়েত বা মিউনিসিপ্যালিটি: এদিকের আপনার নজর দেওয়া দরকার কেননা আপনার একার পক্ষে এতটা ব্যয়বহুল কাজ করা সম্ভব নাও হতে পারে। এর জন্য আপনার পঞ্চায়েত বা মিউনিসিপ্যালিটির বিশেষ সহযোগিতার প্রয়জন পড়তে পারে। তারা সহযোগিতা করলে ব্যাপারটা বেশ সহজ হতে যাবে।
৩.বই: এরপর আসি বইএর কথায়। প্রথমেই আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ বই গুলোর ব্যবস্থা করতে হবে। পুরাতন ও নতুন বইয়ের আলাদা ব্যবস্থা থাকা দরকার। বিশেষ বিশেষ বইয়ের জন্য বিশেষ তাক থাকা দরকার। এছাড়া প্রাপ্তব়স্কদের পড়ার বই শিশুদের থেকে আলাদা রাখাই ভালো। এছাড়া আঁকার বই, খেলার বই ইত্যাদি ও রাখতে হবে যাতে সেগুলো পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয় হয়। সমস্ত বইএর রেকর্ড আপনি কাছে থাকা বাধ্যতামূলক।
রেজিষ্টার করা বইএর একটি সময় সীমা থাকা দরকার যার মধ্যে পাঠককে বই ফেরত দিতে হবে, অন্যথায় ফাইন করা যেতে পারে।
৪.সহযোগী কর্মী: লাইব্রেরি কখনোই একক হয় না। ভালোভাবে লাইবেরী পরিচালনার জন্য দরকার বিশ্বস্ত কর্মী যারা পাঠকের সঙ্গে ভালভাবে কথা বলা এবং ব্যাপার গুলো বোঝাতে পারবে। এক্ষেত্রে আপনার বিশেষ বন্ধু ও কাজে আসতে পারে।
৫. অনুদান: ভাল লাইব্রেরি বানানোর জন্য পর্যাপ্ত টাকা দরকার। এক্ষেত্রে কোনো সংস্থা বা বিশেষ বিত্তবান ব্যক্তিকে সাঘে নিয়ে চলতে পারেন।
৬. মেম্বারশিপ: শুধু বই না,তার সঘে পাঠক ও আপনার লাইব্রেরির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। অতএব আপনার তাদের সাথে মনের মিলন হওয়া দরকার। এর জন্য আপনার দরকার মেম্বারশিপ কার্ড জা আপনার আর পাঠকের মধ্যে বিশেষ যোগসূত্র গড়ে তুলবে। এই কার্ডে পাঠকের নাম, চ্ছবি , ঠিকানা ইত্যাদি থাকবে।
৭. সস্তা বই: বিভিন্ন সময় যেখানে সস্তার বই পাওয়া যায় সেখানে আপনাকে বই কিনে রাখতে হবে যাতে কম পইসায় আপনি বইএর সম্ভার বাড়াতে পারেন।
৮. প্রচার: নির্দিষ্ট সময় অন্তর আপনার লাইবেরির খবর মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিতে হবে। যাতে আপনার এবং আপনার লাইব্রেরির সম্মন্ধে তাদের ভালো ধারণা তৈরি হয়।
এইগুলো খুবই সাধারণ পদ্ধতি,এছাড়াও আপনি নিজস্ব নিয়মে চলতে পারেন।
No comments:
Post a Comment